ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

প্রথম রাউন্ডের জ্বলজ্বলে তারা সাকিব

মাজনুন হোসেন, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪০, মার্চ ২০, ২০১৪
প্রথম রাউন্ডের জ্বলজ্বলে তারা সাকিব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শেষ ম্যাচটা জেতা হলো না বাংলাদেশের। হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং ধসের পর ব্যাটসম্যানদের দায়ী করা চলে।

তবে সেটাকে খুব বেশি পাত্তা দিতে হচ্ছে না, কারণ ইতোমধ্যে রান রেটের হিসাব নিকাশে সঠিকভাবে প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়ে সুপার টেনে উঠে গেল মুশফিকুরের দল।

বাংলাদেশকে এই সফলতার পথে তুলতে সাকিব আল হাসান বড় অবদান রেখেছেন। হয় কোনো ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠেছেন নয়তো ব্যাট হাতে।

প্রথম ম্যাচের কথাই ধরা যাক। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এসে এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এই বাঁহাতি স্পিনার। তিন ওভার এক বলে ৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট। মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে গেল আফগানরা। আর টাইগাররা ৮ ওভার বাকি থাকতে জয় তুলে নেয়। ওই ম্যাচে সাকিব অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।

দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বল হাতে একটু বেশিই রান দিয়েছিলেন। চার ওভারে ২২ রান, কোনো উইকেট পেলেন না। নিজের পারফরমেন্সে ভারসাম্য ফেরালেন ব্যাট হাতে। শক্তি গৌচানকে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় তরান্বিত করলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ২৩ বলে এক চার ও চার ছয়ে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন।

হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে একাই জ্বলে উঠলেন সাকিব। ২৭ বলে ছয় চারে ৩৪ রানে আউট। সুপার টেনে ওঠার পথে হংকংকে বাংলাদেশ লক্ষ্য দিল মাত্র ১০৯ রান। রান রেটের জটিল হিসান নিকাশে জিততে হলে প্রতিপক্ষকে ১৩.২ ওভার অবধি জয় থেকে দূরে রাখতে হবে। সাকিব চার ওভারে ৯ রান দিয়ে তিন উইকেট হাতিয়ে নিয়ে কাজটা দলের পক্ষেই রাখলেন। যদিও দুই বল বাকি থাকতে প্রথম রাউন্ডে একমাত্র জয় পেল হংকং।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, ২০ মার্চ ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।