ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন এবং উঠতি অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির ব্যক্তিগত ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ক্রিকেটাঙ্গনের কেউ।
রুবেলের ঘটনা ব্যক্তিগত হওয়ায় তার সতীর্থরা এ বিষয়টি নিয়ে চুপই ছিলেন।
বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে রুবেল এবং হ্যাপির ফোনালাপ প্রকাশের পর পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়।
জাতীয় দলের একজন পেসার বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেখেন বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত, এভাবে গণমাধ্যমে এসব কথা প্রকাশ করা দুঃখজনক। দু’জনেরই ভবিষ্যৎ আছে, পরিবার আছে এসব মাথায় রাখা উচিত সবার। সংবাদ প্রকাশে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। ’
সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট দলে ডাক পেয়েছেন এমন আরেক ক্রিকেটার বিষয়টিকে দেখছেন একদম ভিন্ন আঙ্গিকে। তার মতে ক্রিকেটারদের আরো ‘রিজার্ভ’ হয়ে যাওয়া উচিত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সীমা অতিক্রম করছে যা মোটেও উচিত নয়।
বিসিবির প্রভাবশালী এক কর্মকর্তাও এ ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এটি সবার জন্যে বিব্রতকর। শৃংঙ্খলাভঙ্গ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এটা এতোটাই ব্যক্তিগত বিষয় যে আমাদেরও সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, সেখানে এরকম মিডিয়া ট্রায়ালের কোনো প্রয়োজন নেই। ’
একজন সাবেক ক্রিকেটারও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। বাংলাদেশ দলের সাবেক এক অধিনায়ক বলেন,’ পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে পরিপক্কতার অভাব দেখা গেছে। যে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তা এভাবে প্রকাশ করা যায় বলে আমার মনে হয় না। গণমাধ্যমের এ আচরণ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আওতায় পড়ে না। ’
ফোনালাপ প্রকাশের বিষয়টি নিয়েও সাংবাদিক মহলেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক গণমাধ্যম কর্মীর মতে কিছু গণমাধ্যম এ ধরনের ফোনালাপ শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থেই প্রচার করছে। কিন্তু এ ধরনের আচরণ দীর্ঘমেয়াদে গণমাধ্যমের জন্যে ভালো হবে না।
আবার তথ্য থাকলে গণমাধ্যমের প্রকাশ করা উচিত বলে মত কারো কারো।
১৩ ডিসেম্বর ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণ মামলা করলে তোলপাড় পড়ে যায় পুরো ক্রিকেট মহলে।
পরের দিন মিরপুর থানায় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিয়ে করার শর্তে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেন হ্যাপি।
১৬ ডিসেম্বর বোর্ড সভাপতিও জানান রুবেলের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিসিবি, শৃঙ্খলার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮ ২০১৪


