ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

অপুর দ্বিতীয় আঘাত, ব্যাকফুটে শ্রীলঙ্কা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩৮, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
অপুর দ্বিতীয় আঘাত, ব্যাকফুটে শ্রীলঙ্কা ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। দুর্দান্ত শুরুর পর অভিষিক্ত নাজমুল ইসলাম অপুর দ্বিতীয় আঘাতে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে লঙ্কান শিবির। নবম ওভারে দলীয় ৯৩ রানের মাথায় আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন উপুল থারাঙ্গা (৪)।

বিপদজনক হয়ে ওঠা মেন্ডিস ও দানুশকা গুনাথিলাকার ব্যাটে দাপুটে শুরু পায় লঙ্কানরা। ওপেনিং জুটি ভেঙে মূল্যবান ব্রেকথ্রু এনে দেন অপু।

মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন দানুশকা গুনাথিলাকা (১৫ বলে ৩০)। দলীয় ৫৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।

অপুর পর অভিষেকেই উইকেটের স্বাদ পান আফিফ হোসেন। ঝড়ো ইনিংস খেলা কুশল মেন্ডিসকে (২৭ বলে ৫৩) সৌম্য সরকারের ক্যাচবন্দি করেন। ৯০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সৌম্য-মুশফিক-মাহমুদউল্লার ঝড়ো ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ১৯৩ রানের রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক শিবির। টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ১৯০ (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১২ সালে বেলফাস্টে)।

পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে আসে ৭১। ১০ ওভারে ১০০। চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৩।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হন সৌম্য সরকার (৫১)। জীবন মেন্ডিসকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। তার ৩২ বলের মারকুটে ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার।

দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি ভাঙে। ইনজুরি আক্রান্ত তামিম ইকবালের জায়গায় নামেন অভিষিক্ত জাকির হাসান (১০)। সৌম্য-মুশফিক দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপে যোগ হয় ৫১। শেষ ওভারে আউট হন সাব্বির রহমান (১)।

অভিষেক ম্যাচে দুর্ভাগ্যের শিকার হন আফিফ হোসেন (০)। সৌম্যর বিদায়ের একই ওভারে (একাদশ) বল পায়ে লেগে নিচে পড়ার সময় ব্যাটের পেছনে লেগে যায়। ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলা। দলীয় ১০০ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা।

দলে ফেরা লেগস্পিন অলরাউন্ডার মেন্ডিস দু’টি উইকেট লাভ করেন। একটি করে নেন গুনাথিলাকা, ইসুরু উদানা ও থিসারা পেরেরা।

বাংলাদেশ একাদশে নতুন মুখ চারজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত জাকির হাসান, আফিফ হোসেন, আরিফুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপু। বাহুর পেশীর ব্যথা পুরোপুরি সেরে ওঠায় তামিমকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কবজির সমস্যা কাটিয়ে শঙ্কা দূর করেন মুশফিক।

আঙুলের চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ মিস করেন সাকিব আল হাসান। ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে ইনজুরি আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলা নিয়েও রয়েছে সংশয়। সাকিবের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।