ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘নিখোঁজ’ শিখর কন্যা ছন্দার মৃত্যু সনদ দিল নেপাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৭, জুন ৬, ২০১৪
‘নিখোঁজ’ শিখর কন্যা ছন্দার মৃত্যু সনদ দিল নেপাল

ঢাকা: অবশেষে নিখোঁজ ভারতীয় অভিযাত্রী ছন্দা গায়েনের ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ইস্যু করেছে নেপাল সরকার।   এর আগে ২১শে মে ছন্দা গায়েনের নিখোঁজ হবার খবর প্রথম প্রকাশিত হয়।



‘শিখর কন্যা’ খ্যাত ছন্দার ভাই জ্যোতির্ময় সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী নেপালে পাহাড়ে কেউ তিন বা তার বেশি দিন নিখোঁজ থাকেন সে ক্ষেত্রে তাকে মৃত ধরে নিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দেয় দেশটির সরকার। ২০ মে দেওয়া মৃত্যু সনদে লেখা রয়েছে, মৃত অথবা নিঁখোজ।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট দিতে অনেকটাই দেরি করা হয়। কারণ খারাপ আবহাওয়ার জন্য বার বার উদ্ধার কাজ চালিয়েও ছন্দা গায়েনসহ কোনো অভিযাত্রীর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার কাজ চালাতে বেশ কিছু দিন কেটে যায়।

এরেআগে যদিও নেপালি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিল, তুষারধসের কবলে পড়ার দুই দিন পর সদ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা শিখর জয়ী পর্বতারোহী ছন্দা গায়েনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে নেপাল পুলিশ।

নেপালের সাঙ্খুয়াসভা জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর কৃষ্ণ দেব চৌধুরী জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা পশ্চিম শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশে বেরিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হন ছন্দা এবং তাঁর সঙ্গী টেম্বা শেরপা (২৪) ও দাওয়া ওয়াংজু শেরপা (২৮)।

ইয়ালুং কাং শিখরের পথ ছেড়ে সামিট ক্যাম্পে ফেরার পথে ৫ হাজার ৫০০ মিটার উচ্চতার এক গিরিশিরার উপরে তাদের উপর ভেঙে পড়ে বিশাল তুষার ধস।

বরফের চাঙড়ের সঙ্গেই অতল গিরিখাতে ছিটকে পড়েন তিনজন। গভীর তুষার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

পর্বতারোহী টুসি দাসের সঙ্গে প্রথম মহিলা অভিযাত্রী হিসেবে কাঞ্চলজঙ্ঘার শীর্ষ শিখর জয় করেন ছন্দা।

এরপর সহযাত্রীরা শিখর শিবির ছেড়ে নিচে নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি পশ্চিম শিখর আরোহনের পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী পরদিনই দুই সঙ্গীকে নিয়ে ৮ হাজার ৫০৮ মিটার উচ্চতার ইয়ালুং কাং শিখরের দুর্গম পথে রওনা হন।

কিছু দূর যাওয়ার পর প্রবল তুষারপাত শুরু হয়। সেখান থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষরক্ষা হয়নি তাদের।

কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।