ঢাকা: মোহনা টেলিভিশনের ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ শহীদূল আলম ইমরান মনে করেন- পর্যটকদের সাবধানতাই সাগরে ডুবে মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনা রোধে মূল সহায়ক হতে পারে।
তবে, এসব দুর্ঘটনার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের অবহেলাও জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমুদ্রস্নানে কেনো হারায় তাজাপ্রাণ!- শীর্ষক বাংলানিউজ নাগরিক মন্তব্যে পাঠানো শহীদূল আলম ইমরানের ইমেইল মতামত:
‘সমুদ্রস্নানে ভেসে গেলো তাজা ক’টি প্রাণ! কয়েকজন বন্ধু হৈ-হুল্লোড় করে পানিতে নেমেছিলো, কেউ ফিরলো কেউ ফিরলো না। সমুদ্র টেনে নিয়ে গেলো তার করাল গ্রাসে। যারা ফেরেনি প্রাণ নিয়ে, তাদের চার জন লাশ হয়ে ফিরেছে, আর দু’জন ফিরলই না। প্রায়শই এমন করে ভেসে যায় তাজা-তাজা প্রাণ। কিন্তু কি হয় সেই সমুদ্রে? সেন্টমার্টিনের সমুদ্র কেন এতো মানুষখেকো? আর কী বা তার সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। কোনপথে তারুণ্যের সমুদ্র স্নান বাধা পড়ে থাকবে না নিষেধাজ্ঞার আড়ালে? কোনপথে বন্ধ হবে এমন মৃত্যু?
পর্যটনের এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে দু’বাহু বিছিয়ে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। স্বচ্ছজলে প্রবালের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পর্যটকের চোখজুড়িয়ে দেয় সেন্টমার্টিন। কিন্তু সে সম্ভাবনার কতটুকুই বা সম্ভব হয়েছে কাজে লাগানো। বাংলানিউজের এমন সূচনা যে কারো চোখে পড়লেই বুঝা যাবে আসলে কেনইবা এমন দুর্ঘটনা আমাদের জীবনে বার বার আসে।
আমার মতে শুধু নিরাপত্তা বাড়ালেই এ ধরণের ঘটনা রোধ সম্ভব নয়। এ জন্যে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা। কর্তৃপক্ষের যেমন অনেক জবাবদিহীতা থাকার প্রয়োজন তেমনি, পর্যটক হয়ে যাওয়া যেকোন পেশার মানুষেরও অনেক সর্তক থাকা দরকার। কারণ, আমার ভালতো আমার চেয়ে আর বেশি কেউ বুঝেনা। তাছাড়া স্রোত আর আগুনসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ কারো কথায় চলেনা।
নিরাপত্তার অভাব রয়েছে এটি কোনভাবেই আমি অস্বীকার করবোনা, কারণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরও অবহেলা রয়েছে এক্ষেত্রে। অন্যদিকে অনেক পর্যটক রয়েছেন যারা নিরাপত্তাকর্মীদের কোন বারণই শুনেনা। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরণের সর্তকতার প্রচারণা করা দরকার তা কিন্তু করা হচ্ছেনা। তার পরও পর্যটকদের সাবধানতাই এসব দুর্ঘটনা রোধের মূল সহায়ক বলে আমি মনে করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪