ঢাকা, রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

ফিচার

শিক্ষা সফর বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪০, এপ্রিল ২২, ২০১৪
শিক্ষা সফর বন্ধ করা কোনো সমাধান নয় সিফাত/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাথাব্যথা হলে যেমন মাথা কেটে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ নয় তেমনি দুর্ঘটনা ঘটলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে সফর বাতিল করা কোনো সমাধান নয়।

দেশে পর্যটক খাতের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন নিহত ছয় ছাত্রের বন্ধু সিফাত।

সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষা সফর বাতিলের মতো প্রসঙ্গ উঠে আসে। এর প্রেক্ষিতেই তিনি এসব কথা বলেন।
 
মঙ্গলবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র অফিসে আসেন তিনি। তার সঙ্গে আছেন শোভন, শাইফ, অনীক, খালিদ, পূর্ণী ও স্নেহাশিস।

২০১২ সালের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দেশে পর্যটন খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।   ২০১২ সালে মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৯ হাজার চারশ ৮০ কোটি টাকা।

২০১২ সালে পর্যটন খাত থেকে যে পরিমাণ টাকা এসেছে তার অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ১৯ হাজার তিনশ’ কোটি টাকা এসেছে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাত থেকে। যা মোট জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ।  

বিভিন্ন রিপোর্টের বরাত দিয়ে সিফাত বলেন, শুধুমাত্র ২০১২ সালেই পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত ছিলো ১২ লাখ ৮১ হাজার পাঁচশ’ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যা মোট চাকরি খাতের ১.৮ শতাংশ।

যদি পর্যটন খাতে ধস নামে তবে এ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনেও যে ধস নামবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।   

এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে ২০২০ সাল নাগাদ পর্যটকের সংখ্যা ১৬০ কোটি ছাঁড়িয়ে যাবে এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যটকের ৭৩ শতাংশ এশিয়া সফর করবে। সুতরাং আমাদের কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনস-সুন্দরবনের মতো স্থান বিদেশি পর্যটকদের নজর কাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।