চমকানোর মতো খবরই বটে! মস্তিষ্কের উর্বরতা ও মেধার পরিচয় দিয়ে চীনা প্রতিরক্ষা খাতে সন্তোষজনক অবস্থান দখল করেছে বাঁদর। বাঁদরের বাঁদরামি বলে বাঁদরকে আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার কোনো অবকাশ নেই।
বাঁশিতে ‘ফু’ দেওয়া মাত্রই তাদের দ্রুত ছুটে যেতে হবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে হবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের। এই পাখিগুলোই এতদিন বিরাট ঝামেলা হয়ে দেখা দিয়েছিল চীনা বায়ুসেনাদের। আতসবাজিসহ বিভিন্ন উচ্চমাত্রার শব্দ প্রকম্পিত করেও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছিল না।

যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন বিমান যাতায়াত অথবা জরুরি অবতরণের সময় এসব ছোট্ট ছোট্ট পাখিরাই সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে দেশটিতে। অনেক ক্ষেত্রে প্রায় দুর্ঘটনার মুখোমুখিও হতে হয়। তবে সেসব নানা প্রজাতির পাখিগুলোকে হত্যা বা নিধন করে নয়, তাদের বাঁচিয়ে রেখেই সমস্যা সমাধনের পথ খোঁজে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে গবেষকদের কাছে ধরা পড়লো বাঁদরের করিৎকর্মা মনোভাব।

চীনা এয়ারফোর্সের ওয়বসাইট থেকে জানা যায়, এ ধরনের কাজে বাঁদরেরা অত্যন্ত বাধ্য ও ভীষণ চটপটে। প্রশিক্ষকের বাঁশির শব্দ শুনলেই এক নিমেষে তারা বিমানঘাঁটির আশপাশের গাছপালায় উঠে পাখিদের বাসা ভেঙে দেবে। এক নিমেষে এক একটি বাঁদর ছ’টি বাসা ভাঙতে পারে।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো সরকারি বাহিনীতে বাঁদরদের যুক্ত করার ঘটনা এই প্রথম। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বন্যপ্রাণীর ব্যবহার অবশ্য নতুন নয়। আমেরিকার সেনাবাহিনী তাদের কাজের জন্য একদল ডলফিন পুষেছিল। আর কুকুরের ব্যবহার তো সর্বজনবিদিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪