ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

ফিচার

‘সব কষ্টের জন্য ধন্যবাদ’, কিশোরীর সুইসাইড নোট

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩১, মে ২২, ২০১৪
‘সব কষ্টের জন্য ধন্যবাদ’, কিশোরীর সুইসাইড নোট

ঢাকা: মেয়েটি বড়ই অভিমানী। অভিমান তার বাবা-মা, প্রেমিক, প্রতিবেশী সবার সঙ্গে।

বয়স মাত্র ১৫ বছর। কিন্তু সবার আচার-আচরণই তাকে কষ্ট দিতো। এসব সইতে না পেরে অবশেষে হলো আত্মঘাতী। লিখে গেলো এক সুইসাইড নোট: ‘সব কষ্টের জন্য ধন্যবাদ। ’

যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়ো এলাকার ১৫ বছরের কিশোরী কোরা ডেলিসের আত্মহত্যার আগে লিখে যাওয়া এ সুইসাইড নোট ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আর এই সুইসাইড নোট থেকেই তারা বুঝতে পারে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ওই বয়সের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হতো।

কোরা ডেলিসের মৃত্যুর পর তার শোবার ঘর থেকে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করা হয়। নোটের শেষ শব্দগুলো ছিলো ‘আমাকে দেওয়া সব ধরনের কষ্টের জন্য ধন্যবাদ। ’

কোরা এই সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের সবার নাম উল্লেখ করে গেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন তাদের আচরণের কথা। যে আচরণ প্রতিমুহূর্তে কোরাকে কষ্ট দিতো।

কিন্ত‍ু কোরা কখনো তার পরিবারের লোকজন কিংবা শিক্ষকদের কাছে তার এ কষ্টের কথা বলতে পারতো না।

কোরার সঙ্গে যারা সবসময় খারাপ আচরণ, তর্জন গর্জন করতো তাদের মধ্যে ছিলো কোরার প্রাক্তন প্রেমিক। যার সঙ্গে মৃত্যুর আগেরদিন রাতে কোরার বিচ্ছেদ হয়।  

কোরা তার সুইসাইড নোটে তার মায়ের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমার সঙ্গে যখন অন্য ছেলে-মেয়েরা মজা করতো, মা আমাকে কখনো বলতো না যে এটা আসলে কতোটা খারাপ।

তার বাবার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিলো কোরার। ওই সুইসাইড নোটে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বাবা তার সঙ্গে এমন আচরণ করতেন যে মনে হতো তিনি তার সৎ বাবা।

বিষটি সম্পর্কে পিকেরিংটোন পুলিশ কমান্ডার মাট ডিল্প বলেন, এটা অনেক জটিল একটি বিষয়। এর ভেতর একাধিক বাঁক আছে।   এটা বিশাল একটা ছবির খুব খুদ্র একটি অংশ মাত্র। কোনো আইনে এমন কোনো ধারা নেই যে এ পরিবারের এ ধরনের কাজ বা আচরণের ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।