ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

ফুটবল

মেসির প্রশংসা করলেও নিজেকেই এগিয়ে রাখলেন রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪০, আগস্ট ১৪, ২০১৯
মেসির প্রশংসা করলেও নিজেকেই এগিয়ে রাখলেন রোনালদো লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-ছবি: সংগৃহীত

নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু এই দুজনের মধ্যে সেরা কে? এই প্রশ্নের আজও কোনো সুরাহা হয়নি। রোনালদো অবশ্য বেশ কয়েকবার নিজেকেই ‘সেরা’ বলে দাবি করেছেন। এবারও করলেন। তবে তুলনাটা দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে সাফল্য বিবেচনায়। সেই সঙ্গে মেসির অকুণ্ঠ প্রশংসাও করলেন পর্তুগিজ ফুটবলের ‘যুবরাজ’।

ক্যারিয়ায়ের পুরোটা সময় বার্সেলোনাতেই কাটিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে যা কিছু অর্জন, তার সবই এসেছে কাতালান জায়ান্টদের জার্সিতেই।

অন্যদিকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের জার্সিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। সাফল্যও পেয়েছেন অগণিত। এসব দিক বিবেচনায় নিজেকে মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছেন জুভেন্টাসের উইঙ্গার।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার কীর্তি আছে রোনালদোর ভাণ্ডারে। ২০১৯/২০ মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়েও শিরোপা জেতার সুযোগ আছে তার সামনে। মেসির সমান পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখার জন্য এটাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন রোনালদো।

‘ডিএজেডএন’র সিরিজ ‘দ্য মেকিং অব’র জন্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মেসির সঙ্গে আমার সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো আমি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছি। আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ছয় মৌসুমে শীর্ষ গোলদাতা ছিলাম। ’

চ্যাম্পিয়নস লিগের হিসাবে নিজেকে এগিয়ে রাখলেও মেসির প্রশংসা করতে অবশ্য কার্পণ্য করেননি পর্তুগিজ তারকা, ‘মেসি অসাধারণ খেলোয়াড়, যাকে শুধু ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য নয় বরং আমার মতোই বছরের পর বছর শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড় হিসেবে অবস্থান ধরে রাখার জন্যও মনে রাখা হবে। ’

মেসির প্রশংসার পাশাপাশি, টানা দশ বছর ধরে তাদের দুজনের সাফল্য নিয়েও কথা বলেন রোনালদো। তার মতে, শীর্ষে টিকে থাকার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। এজন্য তাদের দুজনেরই প্রশংসা প্রাপ্য বলেও মত তার।

রোনালদো বলেন, ‘অবশ্যই, দীর্ঘদিন ধরে দুজন শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়ের মধ্যে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমি দেখিনি। এমন অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড় আছেন যাদের আমি শ্রদ্ধা করি যারা তিন, চার কিংবা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিয়েছেন, কিন্তু ১০ বছর? এমনটা আগে কখনো দেখিনি। ’

‘আমি এমন খেলোয়াড় আগে দেখিনি, যেটাকে আমরা পর্তুগিজরা বলি প্রতি বছর পাথর ভাঙা, ৪০ কিংবা ৫০ গোল করা, শিরোপা জেতা, সবসময় শীর্ষে থাকা। ফুটবলে এসব অর্জন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। এটার জন্য প্রচুর শ্রম এবং সবসময় সেরাটা দিতে হয়। এমন ফিটনেস, পাতলা শরীর আকাশ থেকে পড়ে না! আমি যদিও মজা করে বললাম কিন্তু এটা সত্য, এসব শিরোপার পেছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এমএইচএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।