ঢাকা, সোমবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

লাইফস্টাইল

কৌতুক অভিনেতা সাইফুদ্দীন আহমেদের চিরবিদায়

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৬, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০

চলে গেলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের সেরা কৌতুক অভিনেতা সাইফুদ্দীন আহম্মেদ। ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সোয়া ৩টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ এশা তার বাসভবন সংলগ্ন কমলাপুর মায়াকানুন জামে মসজিদে। রাতে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বেশ কিছুদিন ধরে বাকরুদ্ধ ও পঙ্গু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন অভিনেতা সাইফুদ্দীন। প্রায় তিন বছর আগে আলজেইমার্স রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। সে সময় থেকেই তিনি আর কাউকে চিনতে পারতেন না। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সাইফুদ্দীন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন আসামের ধুবড়িতে ১৯২৭ সালে। দেশবিভাগের পর ঢাকায় আসেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রথম ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’ দিয়ে তাঁর অভিনয়ের জীবনের সূচনা। অভিনীত ছবির মধ্যে রয়েছে জোয়ার, নাচঘর, চাওয়া-পাওয়া, ময়নামতি, বধূবিদায়, নীল আকাশের নীচে, এতটুকু আশা, সমাপ্তি, দহন, বড় ভালো লোক ছিল, মাসুম, চন্দ্রনাথ প্রভৃতি। শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, তিনি একাধারে বেতার, টিভি ও মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলেও কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই সাইফুদ্দীন আহমেদ সবচে বেশি জনপ্রিয়তা পান।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৩০, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।