ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

লাইফস্টাইল

অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৪১, মে ১৭, ২০২২
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে করণীয়

প্রচণ্ড গরমে শরীর ঘামবে, এটাই তো স্বাভাবিক। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া আমাদের ঘর্মাক্ত করে তোলে।

অনেকের আবার অস্বাভাবিক ঘাম হয়। তাপমাত্রা যাই হোক না কেন। এছাড়া ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এ জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হয়। অস্বাভাবিক ঘাম কখনো কখনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।

শরীরে কোনো রোগ না থাকার পরেও যদি অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে তবে বুঝবেন, স্নায়ুগ্রন্থির প্রভাবে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় থাকার কারণেই এই অত্যাধিক ঘামের সৃষ্টি। এছাড়াও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মেনোপোজ কিংবা উদ্বেগের কারণেও ঘাম বাড়তে পারে।  

সুতির পোশাক পরুন

গরমকালে ত্বকের স্বস্তির জন্য পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনথেটিক কাপড় ত্বকের জন্য স্বচ্ছন্দ নয়, ঘাম বেশি শুষে নেয়; যা আপনাকে শুধু অস্বস্তিতেই ফেলে না, বগলকে আরও ঘর্মাক্ত করে। তাই এ সময় সুতির কাপড় পরুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। তাহলে আপনি কম ঘর্মাক্ত হবেন।

পানি পান করুন

গরমকালে প্রচুর পানি পান করা দরকার। এটি শরীরকে শীতল রাখে এবং এভাবে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া রোধ করে। সব সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন এবং প্রতিদিন অন্তত তিন-চার লিটার পানি পান করুন।

মেথি ভেজানো পানি

অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো পানি খেতে পারেন। এক চা চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে, পরদিন সকালে উঠে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘামসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।

চন্দনের ব্যবহার

চন্দন ত্বকের যত্নে অনেকভাবে উপকারি। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমাতেও কাজ করে চন্দন। চন্দন বেটে নিয়ে শরীরের যে স্থানে ঘাম বেশি হয়, সেখানে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। এতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।

মিশ্রণ ব্যবহার

অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে সারিভা, চন্দন, আমলকির গুঁড়া এবং গোলাপ পানির মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এটি ভালোভাবে গায়ে লাগিয়ে রাখুন, মিনিট বিশেক পর ধুয়ে ফেলুন।

খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন

-রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানিটুকু খেয়ে নিন।

-খুব বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার খাবার খান।

-তেতো এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্ভব হলে একটু বেশি খাবেন। এতে ঘাম কম হবে।

-অতিরিক্ত ঝাল এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এর বদলে অল্প তেল-মসলায় তৈরি খাবার খান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।