ঢাকা, শনিবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জুন ২০২৫, ০২ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না: জামায়াত আমির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৯, মে ২৭, ২০২৫
সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না: জামায়াত আমির বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাসের যে রায় দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হয়েছে সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না। মেঘের আড়াল ভেদ করে সত্যের আলো আসবেই আসবে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে এতদিন জামায়াত নেতাদের ওপর ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াত আমির বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামের ওপর আনা সব মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘদিন ধরে সুবিচারের অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে মুক্ত হলেন তিনি। ওই সময় ক্যাঙারু কোর্ট জামায়াতের শীর্ষ নেতাকে সাজা দিয়েছিল উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাকিরা বেঁচে থাকলে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন।

জামায়াত আমির বলেন, এই সাজা দেওয়ার সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিবাদ করার কোনো পরিবেশ ছিল না।

৭১-এর হত্যাযজ্ঞের ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কারো সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। সুখরঞ্জন বালি সেই ঘটনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পাতানো ট্রায়ালে সাজা কার্যকর করা হয়েছে। সেই সময় জামায়াত নেতাদের পরিবারগুলো ভেঙে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে বিচার চলার সময় দুটি টর্চার সেল তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ করেন জামায়াত আমির।

তিনি বলেন, একটিতে এনে ভিকটিমদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। আরেকটি সেফ হোমে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আইন অমান্য করে নির্যাতন চালানো হতো।

ওই সময় স্বচ্ছ বিচার হলে দণ্ড দিতে পারতেন না উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তাদের ফাঁসি ও দণ্ড দেওয়া হয়।

স্কাইপ কেলেঙ্কারি মাধ্যমে সেই বিচার প্রক্রিয়ার ঘটনা বিশ্ব ও দেশের মানুষের সামনে উঠে আসে।

মঙ্গলবার সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাজানো-পাতানো রায়ে জামায়াতের ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে ন্যায়বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জাতির এই সংকট মুহূর্তে যদি তারা বেঁচে থাকতেন তাহলে তাদের প্রজ্ঞা দিয়ে জাতিকে পথ দেখাতে পারতেন।

জামায়াত আমির বলেন, স্বৈরাচার সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জামায়াত নেতাদের গণহত্যা করেছিল। এটিএম আজহারের মুক্তির রায়ে আজ প্রমাণিত সত্যকে চেপে রাখা যায় না।

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে দেশের মানুষ সমর্থন দিলে প্রতিশোধের রাজনীতির, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটানো হবে।

টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।