ঢাকা, সোমবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

আগরতলা

অজানাই রয়ে গেল চন্তাই’র মন্ত্রের কথা

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৫, জুলাই ৩০, ২০১৭
অজানাই রয়ে গেল চন্তাই’র মন্ত্রের কথা চতুর্দশ দেবতা মন্দির/ছবি: সুদীপ চন্দ্র নাথ

আগরতলা (ত্রিপুরা) থেকে: ভারতের ছোট্ট প্রদেশ ত্রিপুরা। বাংলাদেশের পূর্ব পাশেই এই সীমান্ত প্রদেশের রাজধানী আগরতলা। মানিক্য রাজাদের প্রাসাদ আর শতশত মন্দিরে আবৃত সবুজ এ নগরে প্রতিদিন আগমন ঘটে হাজারো পূণ্যার্থীর। এসব মন্দিরের মধ্যে চতুর্দশ দেবতা মন্দির অন্যতম। পুরনো আগরতলা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে দেবতার মন্দিরটি।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় ভক্তপ্রাণ অর্চনায় নিমগ্ন। মন্দির প্রাঙ্গণে নীরবতা।

লোক সমাগম কিছুটা কম।

কথা হয় নির্মল দেবনাথ নামে একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, এখন খানিক নীরব হলেও খার্চি পূজার সময় হাজার হাজার ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয় এ প্রাঙ্গণ। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লঅষ্টমী তিথিতে পূজা শুরু হয়। ওই দিন ভোরে ১৪টি দেবতাকে হাওড়া নদীতে স্নান করিয়ে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়।
 
মন্দিরের মূল ফটকে দায়িত্বে থাকা কৃষ্ণময় নামে আরেকজন জানান, এই মন্দিরের কিছু নিয়ম রয়েছে। মন্দিরের পুরোহিতকে বলা হয় চন্তাই। তিনি শুধু পূজার মন্ত্র জানেন। এই মন্ত্র লিখে রাখা হয় না। চন্তাই তার জীবনের শেষ লগ্নে নতুন চন্তাই নির্বাচন করেন ও তাকে মন্ত্র শিখিয়ে যান।
চতুর্দশ দেবতা মন্দির/ছবি: সুদীপ চন্দ্র নাথএভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই প্রথা। পূজার মন্ত্রের কথা উদ্ধারের চেষ্টা বহু গবেষক একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনো চন্তাই এই মন্ত্রের কথা কাউকে বলেননি। পূজার দিনগুলোতেই ১৪ জন দেব-দেবীদের দেখার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা। আর বছরের বাকি দিনগুলোতে দেব-দেবীদের সিন্দুকের ভেতর তালাবন্দি করে রাখা হয় মন্দিরের সুরক্ষিত স্থানে।

আগরতলার ইউকো ব্যাংকের কর্মকর্তা ও প্রবীণ ব্যক্তি মনোজ চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৭৭০ এর আগে সেখানে উদয়পুরে দুই মন্দিরে ত্রিপুরেশ্বর ভৈরব মন্দিরে থাকতেন। সেখানে শমশের গাজী পরাজিত হন ও তাতে তারা উদয়পুরে পুরনো আগরতলা থেকে ১৪ দেবতাকে নতুন রাজধানীতে নেওয়া হয় ও সেখানে নতুন মন্দির স্থাপন করা হয়। রাজধানীতে তা ১৮৪০ সালে স্থাপন করা হয়। সেখানে আজো ১৪ দেবতার ছবি আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
এসএইচডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।