কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বিকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে সংস্থাপন-২ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. মঞ্জুর হোসেনকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান এবং পূর্ত বিভাগ-১ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ এনামুল হক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, ৩১ আগস্টের ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সহকারী প্রক্টররা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর আমিও তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। আমরা খোলা মনেই বসতে চাই। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা কেটে যাবে।
আন্দোলনকারী পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে দীর্ঘদিনের যৌক্তিক আন্দোলনের সমাধানে আমরা নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছি। তাই আপাতত রেল অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। আমরা চাই না শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক খারাপ হোক। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চালিয়ে যেতে বাধ্য হব।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোগান্তি আমরা চাই না। তাই যৌক্তিক আন্দোলন করছি, দীর্ঘায়িত করতে চাই না।
মঙ্গলবার দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ময়মনসিংহ স্টেশনে বলাকা, ফাতেমানগরে মহুয়া এক্সপ্রেস, আউলিয়ানগরে জামালপুর এক্সপ্রেস, গফরগাঁওয়ে অগ্নিবীনা এবং মশাখালীতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আটকা পড়ে।
সন্ধ্যায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হয়ে শিক্ষার্থীরা জব্বারের মোড় এলাকা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করলে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এমজে