ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

ক্লাসে ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীকে থাপ্পড়!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫১, এপ্রিল ৯, ২০২২
ক্লাসে ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীকে থাপ্পড়! প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ক্লাস চলাকালীন পড়া না পারায় এক ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীকে গালে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ডক্টর রওশন আলম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) তদন্তের চিঠি কমিটির সদস্যের কাছে পাঠানো হয়।  

জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে ওই কলেজে সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক সাদেকুর রহমান। তিনি পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের একটি মান নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করেন। ওই মানের বিষয়ে জানতে চাইলে এক ছাত্রী ভুল উত্তর দেন। পড়া না পারায় শিক্ষক সাদেকুর রহমান ওই ছাত্রীকে নিজ হাতে নিজের গালে থাপ্পড় মারতে বলেন। পরপর তিনবার বলার পরও ওই ছাত্রী নিজ গালে থাপ্পড় দেয়নি। সে সময় শিক্ষক সাদেকুর রহমান রেগে গিয়ে পাশে থাকা আরেক ছাত্রীকে ওই ছাত্রীর গালে থাপ্পড় মারতে বলেন। কিন্তু পাশের ছাত্রীও ওই ছাত্রীর গালে থাপ্পর দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর পাশে থাকা এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীর গালে থাপ্পড় দিতে নির্দেশ দেন শিক্ষক। নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়ে ছাত্রীর গালে থাপ্পড় দেয় ওই ছাত্র।  

বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করে।  ১৫ কর্মদিবসের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ছেলেটা নিজে থেকেই অতি উৎসাহী হয়ে ওই ছাত্রীকে থাপ্পড় দিয়েছে। তবে আস্তে দিয়েছে। ক্লাসে একটি মান নিয়ে আলোচনা করি। ওই ছাত্রী আগেও ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম।  

তিনি বলেন, একাদশ-দ্বাদশে পড়ে কোনটা গুণ আর কোনটা দশমিক সেটা না জানলে হবে! তখন ওই ছাত্রীকে নিজের গালে নিজে চড় মারতে বলেছিলাম। নিজের গালে নিজে চড় দিলে এটি মনে থাকবে, তাই এমনটি করতে বলেছিলাম। কিন্তু আমার ইনটেনশন খারাপ ছিল না। কারণ ক্লাসে আমি মারার পক্ষে না।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কলেজের সভায় এ ঘটনার জন্য ওই ছাত্রীর বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এসআরএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ